ইউনিয়ন ভূমি অফিস
ছবি |
নাম |
পদবী |
ইমেইল |
মোবাইল |
||||||||
|
|
ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা |
|
০১৮৭৪৬৫২৭২৭ |
||||||||
|
|
অফিস সহায়ক |
|
|
||||||||
|
খুরশিদ আলম |
অফিস সহায়ক |
|
|
★ভূমি সহকারী কর্মকর্তা গনের দায়িত্ব ও কর্মপরিধি★
<><><><><><><><><><><><><><><><><><><><>
প্রজাস্বত্ব বিধি-১৯৫৫ এর ২২ নং বিধিতে ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা গনের দায়িত্বাবলী সুনির্দিষ্ট রয়েছে যা নিম্নে বর্ণিত হলোঃ
১। ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তার অধিক্ষেত্রের অবন্দোবস্তকৃত জমির বিবরণ সম্বলিত তথ্য সত্বর সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নজরে আনার জন্য
২। পয়স্তি ও সিকস্তির কারণে ভূমি মালিকানা পরিবর্তন সূচিত হলে তার তথ্য সত্বর সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নজরে আনার জন্য এবং
৩। স্বত্ত্বলিপিতে করণিক ভুল পরিলক্ষিত হলে তার তথ্য সত্বর সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নজরে আনার জন্য মূলত দায়ী থাকবেন।
৪। এস এ এন্ড টি এ্যাক্ট এর ৯০ এবং ৯৩ অনুচ্ছেদের বিধান মতে পরিবারভিত্তিক জমি রাখার উর্ধ্বসীমা লঙ্ঘিত হলে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তা তাৎক্ষণিক সহকারী কমিশনার ভূমি এর নজরে আনবেন।
৫। এস এ এন্ড টি এ্যাক্ট এর ৯২ অনুচ্ছেদের উপর অনুচ্ছেদ (১) এ-র ক্লজ (এ), (সি) ও ডি এ-র বিধান অনুযায়ী তথ্যাবলী ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ভূমি এর নজরে আনবেন।
৬। এস এ এন্ড টি এ্যাক্ট এর ৯০ অনুচ্ছেদের (৪) উপ- অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী প্রজার স্বার্থ বিলুপ্তির উদ্ভব ঘটলে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তাৎক্ষনিক সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নজরে আনবেন।
৭। উত্তরাধিকার বিহীন অবস্থায় কোন প্রজার মৃত্যু হলে অথবা উইল এর মাধ্যমে উত্তরাধিকার নিযুক্ত হলে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তা প্রতিবেদনের মাধ্যমে রাজস্ব অফিসার কে জানাবেন।
৮। উত্তরাধিকারীদের নাম ঠিকানা, তাদের হিস্যা, উত্তরাধিকার আইনে অথবা উইলের শর্তমতে মৃত ব্যক্তির সাথে স্বার্থের প্রকৃতি, উত্তরাধিকারী হিসেবে প্রাপ্ত জমির হোল্ডিংয়ের বর্ণনা প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকতে হবে।
৯। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমির কোন অংশ এস এ এন্ড টি এ্যাক্ট এর ৯১ অনুচ্ছেদের বিধানমতে সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণযোগ্য কিনা তাও প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকতে হবে।
১০। সিকস্তি পয়স্তি এবং পুনরোদ্ভবের ক্ষেত্রে জমির ধরন, পরিমাণ ও অবস্থান সম্পর্কে তথ্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে হবে।
১১। স্বত্ত্বলিপিতে ছোট ছোট করণিক ভুলের বিষয়ে, যে হোল্ডিংয়ে ভুল সংঘটিত হয়েছে তার মৌজা ও খতিয়ান নম্বর প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে হবে।
এ ছাড়াও এস এ এন্ড টি এ্যাক্ট এর বিভিন্ন ধারায় নিম্ন লিখিত দায়িত্ব ভূমি সহকারী কর্মকর্তাগনের উপর অর্পিত রয়েছে :-
ক) বর্ণিত আইনের ৮৬ ধারায় বর্ণিত বিধানমতে প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ে (শুকনো মৌসুমে) সংশ্লিষ্ট মৌজা ম্যাপে সিকস্তি লাইন অংকনের মাধ্যমে সিকস্তি জমি চিহ্নিত করে নকশা সংশোধন সংক্রান্ত প্রতিবেদন (ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়াল ৩৭২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী) দাখিল করা।
খ) উক্ত আইনের ৮৭ ধারার বিধানমতে পয়স্তি জমি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে জরিপের ব্যবস্থাসহ ভূমিহীনদের মধ্যে বিতরণের প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
গ) এস এ এন্ড টি এ্যাক্ট এর ৯১ ধারার বিধানমতে সিলিং অতিরিক্ত যাহা সরকার এ আইনের ৩৯(১) ধারার বিধান বলে ক্ষতিপূরণ প্রদানের মাধ্যমে অর্জন করেছেন সে সকল সম্পত্তির তালিকা প্রণয়ন, সংরক্ষণ এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি)র নিকট প্রতিবেদন দাখিল করা।
ঘ) এস এ এন্ড টি এ্যাক্ট এর ৯২ ধারার উপ-ধারার(১) এ-র ক্লোজ(এ)তে বর্ণিত বিধানমতে উত্তরাধিকারহীন সম্পত্তিতে ব্যক্তিমালিকানার স্বত্ব স্বার্থ বিলুপ্ত করে সরকারি খাস হিসেবে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা।
ঙ) উক্ত আইনের ৯২ ধারার উপ-ধারার(১) এ-র ক্লোজ (সি)তে বর্ণিত বিধানমতে কেহ স্বেচ্ছায় সম্পত্তি ত্যাগ করলে এবং বিরতিহীনভাবে তিন বৎসর কর পরিশোধ ব্যতিরেকে জমি চাষাবাদ করলে তার সম্পত্তি সরকারি খাস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিধান রয়েছে এ বিধান বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া।
চ) একই আইনের ৯২(১)(ডি) উপ-ধারায় প্রকৃত চাষী নয় এমন কোন ব্যক্তি কোন সম্পত্তি ৫ বৎসর অধিককাল অব্যবহৃত রাখলে তা ব্যক্তি স্বত্ত্ব অবলুপ্তির মাধ্যমে সরকারের বরাবরে অর্পিত হওয়ার বিধান রয়েছে। উক্ত বিধান বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
ছ) এস এ এন্ড টি এ্যাক্ট এর ৯৩ বিধানমতে সাব-লেটিং (পত্তন বা ইজারা) নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ৯৩(২) উপধারায় এ বিধান অমান্যকারী সম্পত্তি নিরঙ্কুশভাবে সরকারে অর্পিত করার ব্যবস্থা রয়েছে। তালিকা প্রণয়ন ও সংরক্ষণসহ এরূপ সম্পত্তি উদ্ধারে সচেষ্ট হওয়া।
এছাড়াও ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়াল এর ৩৫২,৩৫৭,৩৬১
৩৬২,৩৬৪,৩৬৫,৩৬৬,৩৬৮,৩৭৩,৩৭৪,৩৭৫,৩৮০,৩৮১ ৩৮২,৩৮৩,৩৮৪,৩৮৫,৩৮৬ ও ৩৮৭ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত যথাক্রমে ১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯,১০,১১,১২,১৩,১৪,১৭
২৬,৩২,৭১ ও ৯৪ নং রেজিস্ট্রারসমূহ প্রস্তুত ও সংরক্ষণের প্রাথমিক দায়িত্ব ভূমি সহকারী কর্মকর্তা'র।
ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়াল এর ৩৮৮-৩৯০ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত ১,২,৩ নং রিটার্ন সমূহ দাখিল সুনিশ্চিত করতঃ প্রযোজ্যক্ষেত্রে ৩ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত মতে সার্টিফিকেট মোকদ্দমা দায়ের করার দায়িত্বও ভূমি সহকারী কর্মকর্তা'গন পালন করবেন।
ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়ালের ১৬১ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কৃষি জমি অকৃষি কাজের জন্য বিক্রয় বা হস্তান্তর করা যাবে না।আবাসিক, শিল্প বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের কৃষক নয় এমন ব্যক্তি ও উপযুক্ত রাজস্ব কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে কৃষি জমি ক্রয় করতে পারবেন।আবাসিক প্রয়োজনে কোনো অকৃষক ব্যক্তি রাজস্ব কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জমি ক্রয় করিয়া ক্রয়ের পাঁচ বছরের মধ্যে বাড়ি নির্মাণ না করলে উক্ত জমি সরকারের সমর্পিত হবে।এ ব্যাপারে ভূমি সহকারী কর্মকর্তাগনের দায়িত্ব নিম্নরূপ নির্ধারিত আছে
(১) সকল প্রকার খাস, সংস্থার অধীনস্থ ও দাবিদারহীন জমির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ণ;
(২) বিভিন্ন প্রকার খাস জমি চিহ্নিত করে মৌজার স্কেচম্যাপ তৈরি;
(৩) জেলা প্রশাসক মহোদয়ের পত্রের ভিত্তিতে প্রথম সালামি ও খাজনা গ্রহণ;
(৪) উপজেলা ভূমি সংস্কার কমিটির সভায় উপস্থিত হয়ে কমিটির কাজে সহায়তা দান;
(৫) ভূমিহীনকে জমির বাস্তব দখল প্রদান সহ সকল দাপ্তরিক কাজ।
এসকল কাজের বাইরে নির্দেশিত হয়ে আরও যে সকল কাজ ভূমি সহকারী কর্মকর্তাগন করে থাকেন ঃ
➤ অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের নিমিত্ত অনলাইন রেজিস্ট্রার-২ এর হোল্ডিংয়ের ডাটা এন্ট্রি।
➤ রেকর্ডপত্রের ভিত্তিতে ইউনিয়ন/পৌর ভূমি অফিসে তাৎক্ষণিকভাবে জমির ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা গ্রহণ করা হয়।প্রতিদিনের আদায়কৃত ভূমি উন্নয়ন করের অর্থ সংশ্লিষ্ট সকল রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করে আদায়কৃত অর্থ নির্দিষ্ট পরিমাণ হলে তা সরকারের কোষাগারে চালানমূলে জমা করতে হয়।
➤ বাৎসরিক ভূমি উন্নয়ন করের ব্যবহার ভিত্তিক দাবী নির্ধারণ পূর্বক তা শতভাগ আদায়ের নিমিত্তে সারা বছর সচেষ্ট থাকতে হয়। প্রয়োজনে পাওনাদারকে নোটিশ করতে হয়। বারবার তাগিদ দেওয়া স্বত্ত্বেও টাকা পরিশোধ না করলে কমপক্ষে তিন বছরের বকেয়া দাবীর জন্য সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করতে হয়। এক্ষেত্রে যে কোন প্রকার গাফিলতির জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন। ভূমি উন্নয়ন করের টাকা পরিশোধের জন্য জনগণকে উৎসাহিত করতে হয় এবং প্রয়োজনে নিজ খরচে মাইকিং করতে হয়।
➤ জমি সংক্রান্ত সকল প্রকার দেওয়ানি মামলায় সরকার পক্ষে কালেক্টর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে বিবাদী / মোকাবিলা বিবাদী করা হয়।ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে সরকার পক্ষে আদালতে জবাব প্রেরণ করতে হয়।
➤ জমিতে সরকারি স্বার্থ থাকলে ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে আদালতে সরকার পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করতে হয়। মামলায় তার প্রতিবেদন ও সাক্ষ্যের উপর নির্ভর করে সরকারী খাস জমির ভবিষ্যত। তাই এ বিষয়ে তাকে অত্যন্ত বিচক্ষণতাও দক্ষতার সাথে কাজ করতে হয়।
➤ সরকারি জমি রক্ষায় ভূমিকা রাখতে হয় এবং নিয়মিত পরিদর্শন করতে হয়। তার নিয়ন্ত্রণাধীন সকল মৌজার সরকারী খাস জমির রেজিস্টার অতীব যত্নের সাথে সংরক্ষণ করতে হয়।
➤ অবৈধ দখলকার উচ্ছেদের নিমিত্তে মামলা রুজু করার জন্য ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখতে হয়।
➤ খাস জমি বন্দোবস্ত ও বিতরণকালে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে হয়।
➤ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভূমিহীনদের মাঝে খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হয়।
➤ আবেদনকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে নীতিমালার আলোকে অকৃষি জমি দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত প্রদানের প্রস্তাব প্রেরণ করতে হয়।
➤ বন্দোবস্ত গ্রহীতা ব্যক্তি বা সংস্থা কর্তৃক বন্দোবস্তের শর্ত ভঙ্গ করা হচ্ছে কিনা তদারকি করতে হয়। শর্ত ভঙ্গ হলে বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রতিবেদন দিতে হয়।
➤ ভূমি সংক্রান্ত যে কোন সমস্যার আবেদন সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে হয়।
➤ সময় সময় সরকার চাহিত তথ্য প্রেরণ করতে হয়।
➤ হাট বাজার, খাল, বিল, নদী, বালুমহাল, খনিজ সম্পদ প্রচলিত আইনে ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হয়।
➤ খাস মহাল ইজারা না হলে তা হতে খাস আদায় করতে হয়।
➤ কর্তৃপক্ষের যে কোন মৌখিক ও লিখিত নির্দেশ নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হয়।
➤ আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সার্বিক সহায়তা প্রদান করতে হয়।
➤ জাতীয় সংসদের ভূমি বিষয়ক প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য চাহিত তথ্য প্রদান।
➤ আন্তঃজেলা সীমানা বিরোধ ও সীমানা নির্ধারণ কাজে সহায়তা প্রদান।
➤ মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন মামলার জবাব প্রেরণ।
➤ মহামান্য হাইকোর্টের সিভিল রিভিশন মামলার জবাব প্রেরণ।
➤ নামজারী, জমাভাগ ও জমা একত্রীকরণের জন্য প্রস্তাব/প্রতিবেদন দিতে হয়। উপজেলা অফিস হতে আবেদন প্রাপ্তির পর তাকে মূল দলিলপত্র মিলিয়ে দেখা, রেকর্ডপত্রের ধারাবাহিকতা মিলিয়ে দেখা ও সরেজমিন তদন্ত করে আবেদিত ভূমিতে আবেদন কারীর দখল রয়েছে কিনা, সবকিছু সঠিক পাওয়া গেলে তিনি নামজারী জমাভাগের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে প্রস্তাব প্রেরণ করতে হয়। উল্লেখিত বিষয়গুলোর কোন একটিতে সমস্যা পাওয়া গেলে তিনি সংশ্লিষ্ট নামজারী নথিটি নামঞ্জুরের জন্য প্রতিবেদন দিতে হয়।
➤ নামজারী মামলা অনুমোদনের পর আবেদনকারীর নামে নতুন হোল্ডিং খুলতে হয় এবং পূর্বের খতিয়ান হতে বিয়োগ করে নতুন খতিয়ানে জমি যোগ করার আদেশ তামিল করতে হয়। নামজারী মামলা সংক্রান্ত যেকোন অনিয়মের জন্য তাকে বিভাগীয় মামলা'র হুমকি মাথায় রাখতে হয়।
➤ বিভিন্ন প্রকারের সায়রাত মহাল যেমন- হাটবাজার, জলমহাল, বাঁশমহাল, বালুমহাল, পাথরমহাল, ফেরীঘাট ইত্যাদির রেজিস্টার সংরক্ষণ করতে হয়। উক্ত সায়রাত মহালগুলো বাৎসরিক ইজারা দেওয়া না হলে তাকে সরেজমিন গিয়ে খাস কালেকশন করতে হয় এবং আদায়কৃত অর্থ সরকারের সংশ্লিষ্ট কোষাগারে জমা দিতে হয়। হাট-বাজারের চান্দিনা ভিটি (বন্দোবস্তযোগ্য খাস জমি) একসনা লীজের ব্যবস্থা করতে হয়। কোন সায়রাত মহাল নতুন সৃষ্টি হলে তা ক্যালেন্ডারভূক্ত করে ইজারা দেওয়া এবং কোন মহাল বিলুপ্ত হলে তা বিলুপ্ত ঘোষণা পূর্বক ক্যালেন্ডারভূক্ত না করার ব্যবস্থা করতে হয়।
➤ তাকে অর্পিত সম্পত্তি, পরিত্যক্ত সম্পত্তি, বিনিময় সম্পত্তি, ওয়াকফ্ ও দেবোত্তর সম্পত্তির তথ্য রেজিস্টার সংরক্ষণ করতে হয় এবং প্রায়ই সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে হয়।
➤ তাকে বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানের নামে অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তির তালিকা প্রস্তুতপূর্বক যত্নের সাথে সংরক্ষণ করতে হয়। ভূমি অধিগ্রহণ (এল,এ) মামলার গেজেট প্রাপ্তির সাথে সাথে অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তির নামজারীর ব্যবস্থা করতে হয়। অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তি যাতে কোনোভাবে ব্যক্তির নামে নামজারী না হয় সেদিকে খুব সতর্ক থাকতে হয়।
➤ বিভিন্ন মিস মামলা, যথা- নামজারী খতিয়ানের বিরুদ্ধে আপত্তি, খতিয়ানের করণিক ভুল সংক্রান্ত আপত্তি ইত্যাদির তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হয়।
➤ তাকে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের ১৪৪ ধারা ও ১৪৫ ধারায় দায়েরকৃত মিস.পি মামলার সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হয়।
➤ বিভিন্ন গুচ্ছগ্রাম, আশ্রয়ন প্রকল্প, আবাসন প্রকল্প ইত্যাদির ব্যবস্থাপনায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করতে হয়।
➤ সরকারী খাস জমি হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, মাটি কাটা, গাছ কাটা, পাহাড় কর্তন, সর্বসাধারণের ব্যবহার্য পথ, রাস্তা, খাল, কবরস্থান, শ্মশান ইত্যাদিতে অনুপ্রবেশ, স্থাপনা সৃষ্টি ইত্যাদিতে তাকে ঝুঁকি নিয়ে তাৎক্ষণিক বাধা প্রদান করতে হয়। ক্ষেত্র বিশেষে তাকে সরকারী স্বার্থ রক্ষার্থে বাদী হয়ে ফৌজদারী মামলা দায়ের করতে হয়।
➤ তাকে কানুনগো ও সার্ভেয়ারের সহযোগিতায় প্রতি বছর বর্ষার পর নদী তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শন করে সিকস্থি (নদী ভাঙ্গা অংশ) ও পয়স্থি (নতুন চর জাগা অংশ) লাইন নির্ণয় করে সিকস্থি জমির ভূমি উন্নয়ন কর আদায় বন্ধ করতে হয় এবং পয়স্থি জমি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে খাস খতিয়ানভুক্ত করে ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করতে হয়।
➤ তাকে আবেদনকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে জমির শ্রেণি পরিবর্তন পূর্বক ব্যবহার ভিত্তিক ভূমি উন্নয়ন কর আদায় বা মওকুফের ব্যবস্থা নিতে হয়।
➤ তাকে তার অফিসের এলাকায় জরিপ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়।
➤ তাকে দূর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক চাহিত বিভিন্ন অভিযুক্ত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তির তথ্য সরবরাহ করতে হয়।
➤ এছাড়াও বিশেষ সময়ে তাকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যায্য মূল্যের চাল বিতরণ তদারকি করতে হয়।
➤ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন দূর্গাপূজায় পূজামন্ডপ পাহারা দিতে হয়, দূর্যোগের সময় ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে দায়িত্ব পালন করতে হয়।
➤ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের আওতায় দায়িত্ব পালন করতে হয়।
➤ তাছাড়া বিভিন্ন হোটেল/মোটেল, রেস্টুরেন্ট, করাতকল, পেট্রোল বিক্রেতার তালিকা, ইটভাটার লাইসেন্স তদারকি, বিভিন্ন মিল, কারখানার বৈধ কাগজপত্র তদারকি, মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ, সাইক্লোন শেল্টারের তালিকা সংরক্ষণ ইত্যাদি অসংখ্য কাজ করতে হয়।
➤ এসব ছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চাহিত সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক ও ষান্মাসিক বিভিন্ন রিপোর্ট/রিটার্ন যথাসময়ে জমা দিতে হয়।
➤ সরকার কর্তৃক জারীকৃত ভূমি সংক্রান্ত সকল আদেশ/নির্দেশ বাস্তবায়ন করা।
যোগাযোগ
জনাব আবুল কালাম
ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা
মোবাইলঃ-০১৮৭৪৬৫২৭২৭
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস